ডুয়ার্স
এখানে এখন আকাশের রং হলুদ
ঝালং এর বিন্দু নদীর
তীরে সেই কোন সকাল থেকে বসে
তুমি বুঝে নিচ্ছ জলের ওঠা-পড়ার শব্দ
জলস্রোতের সাথে পাথরের গোপন সন্ধি...
এখানে এখন গাছেদের রং লাল
রকস্ আইল্যান্ডের এই লাল পাইন, রডোডেনড্রন এর
মধ্যে বসে লাঞ্চ করতে করতে তুমি একবারমাত্র
মুখ তুললে... দেখলে আশ্চর্য ভাবেই একটা পাহাড়ী পথ
এসে মিশল
তোমার আঁচলে, আর তুমি মুচকি হেসে আঁ চলটা গুটিয়ে
নিলে...
হোটেলে ফেরার পথে গরুমারা অভয়ারণ্য যেখানে
আমাদের গাড়ির আওয়াজে ভয় পেয়ে ছুটে যাওয়া
বাইসন, হাতি, হরিণের পেছন পেছন তুমিও ঢুকে গেলে
জঙ্গলে
তোমার পেছন পেছন পুরো দার্জিলিং শহর, টি-গার্ডেন,
মেসোজোয়িক এরা, রিচার্ড অ্যাভেডন...
আর আমি দাঁড়িয়ে দেখলাম তখন
অভিমানের রং কালো
ঠিক গতরাতের ট্রাইবাল ডান্স আর বনফায়ারের
আগুনের ডগার মতো...
হোটেলের পাশের মূর্তি নদীর চাঁদভাঙা শান্ত জলের মতো...
দূরে... অনেকটা দূরে নীচুস্বর এ হুইশেল দিয়ে
নিউ মাল স্টেশন ছেড়ে যায় কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস...
আর টুপি হাতে ডিরেক্টর সামসিং-এর কুয়াশাবৃত পথে
তখনও একা দাঁড়িয়ে... একা...
No comments:
Post a Comment