বাক্‌ ১৪৯ ।। সৌরভ দত্ত

 


 

সুনীল হারিয়ে যেও না

 

(উৎসর্গ:সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় )

 

বাহান্নতীর্থের সেই পাঁচিল ভেঙে উপমাবিহীন বিকেলের গল্পগুলোর খোসা ছাড়াচ্ছে রোদ্দুরপাঁজরভাঙা হারমোনিয়াম-- নিরালম্ব নীরার প্রেম লজ্জাবস্ত্র উড়িয়ে দিয়ে যায় হাওয়ামেঘময় নির্লিপ্ত চোখ সঙ্গীহীন জলাভূমি থেকে জিওল মাছের  মতো উঠে দাঁড়াচ্ছে সংঘাত,ভুতুড়ে কান্নাঅত্যাশ্চর্য শাদা পাতারা ক্যামবেল হাঁসেদের মতো খেলা করছে স্নিগ্ধ হলুদজলে--সত্যবদ্ধ অভিমান

 

 

একদিন দেখা হয় --সুনীলদার বুরুশমার্কা ডোরাকাটা ঝুলপির ভিতর কেউ চুরি করে রেখে গেছে প্রজ্ঞাপারমিতার শ্লোকআমাদের সঙ্গে নিঃশব্দে হেঁটে যাচ্ছে জংলি গুহা, পেটে ডিম ভর্তি সামুদ্রিক কাঁকড়ার দাঁড়া, ঝুমরি নদী গুপ্ত দ্বীপাঞ্চল

 

রক্তপ্রান্তরে হেমবৃক্ষের নীচে পুঁটি রামায়ণ, মহাভারতের রথ নামে... দ্রোণাচার্যের পায়ের কাছে সূত্র পরীক্ষায় নতজানু বসে আছে; একলব্য সন্ধ্যা আত্মদীপ হয়ে ওঠা ফুলগুলি,তোমার সানুদেশ স্পর্শ করছে রূপোলি ঘাস,খোঁচা খোঁচা বল্লমের মতো মাথা তুলে আছে বীজধান চাঁদের দুধ শিকলের মতো গড়িয়ে নেমে আসছে নিরূপক দূরবীণে কলাগাছগুলোর ঘোমটা পরা সিঁথি

 

কতদিন কথা হয় না তোমার কবিতার সঙ্গেপ্রকৃত প্রস্তাবে লিপিহীন দিনগুলো কৃত্তিবাসী আড্ডাঘর বিস্তীর্ণ ধুলো জমে আছে অর্ধেক জীবনেবক্ররেখা দিয়ে সমর্পণের কাছে যাই প্রশ্ন তুলি নামিয়ে নিই বাঁকা তর্জনি ছোটো ছোটো রাজসিক টিলাগুলো যেন বশীকরণ মন্ত্র শিখছে নীরার ঠোঁটের লাল তিল ছড়িয়ে পড়েছে খয়েরি সরষের ক্ষেতে পাতার মুকুট পরা নগ্ন এথেনা সুন্দরী

 

গিনসবার্গের চিঠি আসে না ম্যান্ডেভিলা গার্ডেনের ভাঙাচোরা ডাকবাক্সে বিষাদের ঘ্রাণ পথে ঘাটে দাঁড়কাক পাঞ্জাবির পকেটে জোর করে লেখা গুঁজে দেয় না কোনো মিতব্যয়ী তরুণ কবি ফ্রয়েডীয় ঘুমের গভীর কেউ পোঁতে না আলোকলতার মূল বিহান রাতের আকাশ সন্ধিবর্ণ রতিসুখ শিহরিত মুহূর্ত এই উল্কাযাপন পশমের মতো জড়িয়ে নিই

 

আমার মন খারাপের জ্বর হলে --তুমি খণ্ডকাব্য,শান্তিবারি এনে দাওঅনুমিত ছায়াপথে লৌকিক বাসর সাজানো রাত্রির রঁদেভ্যু জুড়ে শুধু তুমি...একা এবং কয়েকজন নাগা সন্ন্যাসী রাজমালা হাতে এসে দাঁড়াও স্বপ্নে...নীল পরি হয়ে উড়ে যাও...সুনীলদা...নীরা...তোমরা...হারিয়ে যেওনা

 

 

 

এলটক্সিন

 

"My nerves are bad to-night."

                                            -The West land

 

 

আফিম বিছানায় শেকলে বাঁধা রতি খুঁজে ফেরে দূরগামী হাওয়া চতুর চঞ্চল ঠিকানাবিহীন বৈরিতার ফেনিল ময়ূরাক্ষী জলে ভাসে কিছু সাময়িক অশ্রুপদ ক্ষয়িষ্ণু পৃথিবীর নীল ডানা ছিঁড়ে ছিঁড়ে অদৃশ্য ফ্রেস্কো হলুদ কামিজ গ্রিলড ডাইনোসর প্রজাতির প্লাস্টিক যোনি সংশয়ে একা লাল ঠোঁটে তৃষ্ণার্ত মহাভারতের দুরপনেয় গান কৌশলী দ্যূতক্রীড়ায় বৃকোদর রক্তসিঁথি বহুদূরে ছড়ানো অলিভ পাতার অর্ণব মস্তক নক্ষত্রমণ্ডল ছেড়ে নির্ভিক যোদ্ধার তিক্ত  ঘ্রাণেন্দ্রিয় মদের ব্যাগেতে ঘূর্ণনে পরিবাহী 'ওয়ান্ডারিং স্পাইডার' অবলুপ্ত গ্রিক অক্ষরের ফেনোটাইপ ডিম ফেটে বেরিয়ে আসা ভয়াবহ লিপজিগ পতনের শান্ত নেপোলিয়ন ছায়া গ্রাফিতির ষড়যন্ত্র জালে গর্ভকোষের মুকুল ঝরে অবিরাম সন্ধিপাতে প্রতর্ক আলেয়ার কান্নামাখা উন্মার্গ গণিতের ব্যভিচারি রাতে ঘর্মাক্ত প্রবাল দেহের ক্রমশ বেড়েছে বায়ুজ ব্যারাম তোমাকে স্বপ্নের কবরে শুইয়ে রোজ পাথুরে নৌকার ছৌ-নাচে পর্ববিহীন অনিমেখ চোখ বজ্রশুক্র মেখে মেহেরপুরের প্রিয়দর্শিনী আঁধার সোপানগুলোয় বিষ্ঠা পাগল কোনো জ্যোতির্বিদ অশ্বকেশর দোলানো ওষুধের স্টিপ স্টেফিসিকিওর করে রেখে গেছে এ্যমাজন নারী নুসরাত হিপপোলিটাস মার্কা সন্তানের জারজ ভ্রূণ নরকপ্রাপ্তির মেগাসিন্থেসিস স্বর ইথিলিন ম্যাসেঞ্জার চোরাই মার্কেটে ছুটন্ত ক্যাবারে রেশের সামন্তরিক মাঠ তৈলশস্যের আড়ংধোলাই জলে ভেজা লাখ লাখ পুথিগত জিঘাংসার শ্লোক আর চৈনিক ড্রাগনের ফল গোগ্রাসে গিলেছি মহাসুখে সুশ্রুতের ভেষজ আয়ুষ্কাল মন্দজঠরে প্রোটন-নিউটন ভেঙে ভেঙে কয়লাখনির গর্তে হীরকের তীব্রশ্লেষ দ্যুতি শেরির বোতলে বন্দি কাঠুরিয়ার মায়াজম খাজা গল্পগাছা ঘুমের ওয়েবপোর্টাল ঘেঁষে নৈশস্রাবের রূপকথা জল বয়ে আনে মহুয়াখোর বাদুড়ের তিতীর্ষু চোখে প্ল্যানচেটের প্লাজায় বেনামী পর্যটকের বেশে দেইমাকস হাঁটে চটচটে ওয়েস্টার্ন বৌদ্ধিক প্যাগোদার পথে কোমর্বিডিটির এঁটুলি সমেত ভিটেতে ঘুঘু চড়ানো স্ট্যান্ডবাই ফিকশনের মাতব্বরি ব্লাকহেডস এইসব ব্লাসোফেমি মানিনি কোনদিনই...শকুনির গুবরে পোকা পাশার দিকে এগোচ্ছে মতকুনির লাঙ্গুল বিহীন টিকটিকি...

 

ইস্তক হাইপোথাইরয়েডিজম নষ্টজন্ম কুরুক্ষেত্রে পরাজিত সন্তানের গান...কেশবের ধূসর মায়া

 

সংঘাতে ফিরে ফিরে আসে মৈথুনভরা

অগ্নিচুলাব্যথাতুর অগ্যস্তযাত্রার না পসন্দ সিন...কত শত রক্তকলস...

 

আকবরের ইবাদতখানায় চ্যাংড়া খাটিয়া পেতে চুতিয়া টেক্কা ফেলছে টোডরমল বিষসায়নাইডের ক্ষততুলো ভগন্দর আন্ডাবাচ্ছারা হারানো সব জান্নাতুল ক্রোমিয়াম সন্ধ্যা

 

যোধা বাঈয়ের স্তনে জমকালো চাঁদের নিকোটিন...

 

                             ...দোখজ ফুঁড়ে ওঠে দীর্ঘ সেই মেনস্ট্রুয়েশন প্যারাগ্রাফ--লেলিহান এক সৌরসারস; এলিয়টের চিঠির কম্পিত হাত

 

 

 

মানবজন্মের পথে পড়ে থাকা পুথিশালা

 

প্রত্যেকের চোখে এখন বাদামী ভাইরাস। খেয়ে নেওয়া ঘুমের বড়ি ভেঙে ভেঙে চলে গ্যাছে ক্ষর্বুটে চাঁদনিজস্ব ভূগোল কোথাও নেই...নেই সোমত্ত মানুষীর ঘ্রাণ। আঁকচারা কেটে যাওয়া প্রিজমে নরম মাংসপিণ্ড ব্যারোলিনা,নিতুই হারিয়ে যাচ্ছে নিউটন থিওরিভুলে ভরা গণিতের পাতা সূচিহীন অন্ধকার হলুদ বৃন্তের মতো দোদুল দুলছেমেলেছে বিষন্নতার পাপড়ি সমীহহীন বেঁচে থাকার বদরক্ত সরিয়ে কল্পনাতীত আমার সামনে নতজানু এক বৃক্ষকন্যা এসে বসে সাপুড়েপোতার পিচ্ছিল শবাধারের পাশে সন্ধ্যারাগে ছিঁড়ে যাওয়া ছোট্ট ছোট্ট আয়ুরেখা। পিণ্ডদানের পর এক শূন্যতার আখর মেখে পুস্করে স্নানরাশিফল গুঁড়ো করা শঠ দুর্যোধনের দেহ। বজ্রনাদী নদী বিপন্ন প্রজাতির সুষুম্না স্নায়ুর নিচে দ্বিধাহীন বয়ে চলে আমাদের 'পূর্বজন্ম'। ইশারার গলিত হরিণীনাভির নিচে মহাসুখ,অমোঘ নির্বাণস্বর। আত্মনেপদী সেই সুর খুঁজে ফেরে সব অস্থিশকট রাত্রি যেন পোড়া ক্রুশকাঠজাদুকরী প্রভায় তাকিয়ে থাকা তন্ময় আকাশের ছায়া চরাচরব্যাপী মায়ের ঠোঁটে বিষন্ন ফুলের মধু জমে আছে এক অদ্ভুত দাহ্যতা নিয়েপ্রতিদিন পুড়ে যাই কথার ভিতরে একা একা লাল পিপীলিকার চোখে। মধুভাণ্ড ফেলে নেশাতুর ছুটে আছি মোঘল মিনারেটে, টেরাকোটা যক্ষিণীর কাছেকেউ লিখিয়ে নেয় আকাশকুসুম ভয়,গুল্মস্বপ্নের আগুননৃসিংহ অবতার হয়ে দাঁড়িয়ে মৃতবৎসা ফুলকারি ইট;কল্পনাতীত বিষবাষ্পগুলিআমার সমস্ত শব্দভ্রূণ ট্রটস্কির মতো মাথায় হাতুড়ি মেরে মেরে মরে যায় ক্রমাগত ত্রুটিপূর্ণ ক্রাইসলার শান্তিসকাল বলে কিছু নেই জীর্ণ মানবগুহায় পর্যটনে ভেসে আসে নক্ষত্রমণ্ডলে শতভিষার বিস্ফার চাহনি পতনন্মুখ মেঘের প্রারম্ভিক শ্লোকগুলি লেখা আছে রুখাসুখা তাম্রমাটিতে। গরিবুল্লাহ সাহেবের পুথি ঝোলে আশমানে। ঝুলে থাকে সঙ্গীহীন বনটিয়া, রাঙামাটি বাউলের ভৈরবী রথ চড়ে ঢুকতে চেয়েছি কোন এক যোনিগ্রামে। পারিনি আঘাত জনিত কারণে। সস্তার পাখিডাক গুলি কেলিয়ে আটাকাটি মার্কা পাতালস্বর নীলাভ জৈবিক আকাশ কেটে চলে যাব আনত এক ঘূর্ণনের স্তনবৃত্তেছৌ-নাচের মুখোশ পরে নাচছে কাকতাড়ুয়া নদী। ধর্মাধর্মের ফাঁকে ফাঁকে কন্টকিত জাহান্নামের রাস্তাবাবরের খুলি দু'ইঞ্চি মানবজমিনযে রাস্তায় শুয়ে থাকে লোলচর্ম সারমেয়,লালাজিভ,যত পাংশু শুকর সন্তান। দুষ্টুবুদ্ধি উপড়ে ফেলছে মগজ। ঘৃতকুমারী রক্তিম পানশালাপ্রেমিকার স্বপ্নদেহ জুড়ে বারদুয়ারির জানালা। একটা শিকারী হুলের ফলা নিয়ে তাড়া করছে আমাকে,দৌড়চ্ছি প্লট প্লট দরপত্র আর সম্পর্কের ধোঁয়াটে ক্ষেত্রে। পায়ের নিচে অসংখ্য শুকনো পাতা সহস্রাব্দ প্রাচীন পূর্বপুরুষে ভাঙা হাড়গোড়, হারিয়ে ফেলেছে ক্ষয়পূরণের নকশাবর্তুলাকার প্রজন্মের কৃকলাস বুকে কেউ তো চালিয়ে যায় ধারালো রামদা,প্রস্তরের তীক্ষ্ম ফলা। অক্ষর কেটে কেটে পড়ছে তোমার রুদ্রাক্ষ চোখের পাতা। আশঙ্কায় ঝুলে আছে ত্রুটিপূর্ণ বায়ুথলিহিজরিসালযৌবনের অস্বচ্ছ দর্পণে পাল্টে যাচ্ছে নিস্তেজ জ্যোৎস্নার প্রজ্ঞান জ্যোর্তিবলয়। কাঁচা ডুমুরের আমোদিত ঘ্রাণ। প্রবাহপথে রাক্ষসনাচের উন্মত্ততা সরিয়ে হাঁটছি সরষের বীজের উপর দিয়ে। ক্রমাগত পিছলে যাচ্ছি সীমাহীন ঘাত প্রতিঘাতে

 

 

টানা রিক্সার কিসসা রাঁঢ়ের বাড়ির চাঁদ

 

অন্ধকারে চলে গেলে ফেরে না মানুষ

নরদেহ খেয়ে নেয় যৌনসুড়সুড়িগুলো

চরকি পাক ঘুরে নাচে মভোলেট রাত্রির কঙ্কাল

শুকনো গাছেদের বাতিল শেকড় বাকড়...

ঔষধি স্বপ্নের কোনখানে থেমে যাওয়া আছে

ক্ষতপূর্ণ নদী সেইসব ভাঁড়ামোর দিকে

শালুক পাতার মতো তাকিয়ে থাকে একা

মাতাল জ্যোৎস্নার খসে যাওয়া ওড়না

ঘুমের ভিতর ফাঁস জড়াচ্ছে নীল ফেনা

পৌরষের স্বরে ফুলে ফেঁপে ওঠে

শয়তানের ব্যাঘ্রচর্ম,কন্ঠনালী

অরন্ধনও নিত্য লৌকিক প্রণালী

আহত জানলার কাঁচ জানে সব গুপ্তরোগ

সংসারের দুঃখদায়িনী গান সেই ফলভোগ

অন্নপূর্ণারা নিরবে সহ্য করে ভিখারি শিবের তান্ডব

কলহপর্বের পর এক অদ্ভুত সাইকোপ্যাথ হাওয়া

উড়িয়ে দিচ্ছে মিহিচুল:পরে থাকা ভালোর মুখোশ

ভাতের থালার মধ্যে জাবর কাটছে  গঙ্গাফড়িং

যন্ত্রণার ওপারে তৈরি হচ্ছে এক ব্ল্যাক ডায়মন্ড রিং

বিচ্ছেদ একপ্রকার অদৃশ্য পরিখা

যার অন্তরে বাহিরে সমূহ বাকভবিতন্ডা ধ্বনি

কোথায় যেন ওঁৎ পেতে বসে আছেন শনি

আমার বোনের চোখের মায়াকাজল

নিষিক্ত বেদনার প্রদাহ-- অশ্রুসজল

জটিলতাহীন সেই রক্তকরবী মেঘ তো থেমে যায় রাতে

নক্ষত্রহীন অযাচিত পুরুষের পেতে দেওয়া বামহাতে

একটা ধ্বংসকরণ খেলা চলছে চৌদিকে

জোর চিমটি কাটছে সহানুভূতি;ক্রোধ

অপরিপক্ক প্রণয়ের দায়ভার নিতে রাজি আছো তুমি?

হে,বৈসাম্পায়ন এইসব গোঁড়ার তুমির বাবু কালচার

দুলালী চোখের ফাঁকে মুক্তি পারাবার

টানা রিক্সায় চড়ে

ভায়া আমার রাঁঢ়ের বাড়ি যায়

পেঁয়াজ কলির মতো ছড়ায় অতিবাস্তব সব

লিঙ্গপূরাণের গল্পগুজব--ঢুলুঢুলু কামজ্বর

 

 

মরা গাছে ঝোলে মহাসর্প;টাকা

এভাবেই খচ্চরের পকেট ফাঁকা

পরকীয়া শিল্প আজ চন্দ্রাহত জল

আদমের স্পর্শ সুখে ঝরে পড়া ফল

প্রেম তো চিবিয়ে খায়-- টাকপড়া ভাম

মদ-মাংসে নড়বড়ে জীবনের থাম

কাঁচি দিয়ে ফালাফালা সম্পর্কলতা

এ ভারতেও শকুন্তলা খোঁজে নির্জনতা

পাখি আসে উড়ে যায় নিরুদ্দিষ্ট পথে

কাঁধ ধরো বাবুসাব পড়েছি দ্বৈরথে

শ্যাম রাখি না কুল রাখি! সদা মানভঞ্জন

তুমি তো খসাও জল অমিত:বরাহনন্দন

খাটে মাথা পড়ে আছে ঠিক যেন দ্রোণ

ধৃষ্টদুম্ন সেজে উঠি-- চূর্ণকরা মন

অবিশ্বাস্য মিথ্যাচার;হীন কপটতা

ত্রেতা,দ্বাপর কেটে গেছে শঙ্কিত রাত

প্রতিক্ষণে সিঁধ কাটে বিষের করাত

নারীরা সতীন প্রিয় অভাগার ঘর

অন্নদার দৈনদশা কেটে চলে-- খড়

 

 


No comments:

Post a Comment