ব্যাধিচার
১
বহুকাল
হলো নিজেকে ডেকে চলেছি জীবন নামক আরশলার জবানবন্দিতে;
বোধের
হ্যাঙারে অনুমান ছাড়া কিছুই পেলাম না
তাই
নিলাম- তৃখণ্ডিত গলায়।
-
চলো দুঃখবীর ভোগের ময়দানে গাই স্মৃতি গায়েবী গান।।
এখানে,
বাদামী
রঙা সব প্রশ্রয়ের দলিল
ওখানে,
বিশ্বাস
এক অভিজ্ঞতার সাইকেল!
উত্তর
হাতাতে হাতাতে উড়ে গেছে সব হাত-কথা, ঘোলা বেলুনের ভেতর তলিয়ে গেছে উৎসব; মায়া ধরতে
গিয়ে দেখি- মানুষ ছাড়া ভয়ের কোন রাস্তা নেই!
মূলত-
মেঘ ছাড়া হৃদয়ে কোন আসমানী পন্য নেই …
আসমানী পন্য
২
মন
ভেদ করে সাপ্লাই দিচ্ছে পলোনোমিয়াল আত্মচিৎকার, প্রভুর পাশ কেটে কার পাটে?
কে
রে ঘাটে বসে আছে চিরকাল? রোদের শশ্মানে বসে খায় গ্রীষ্ম-জলের মদ
হাড়ির
তলপেটে লাকড়ির গান। অথচ প্রকৃত রান্না খেয়ে উড়ছে পাখি;
কুমারী
ঠোঁটটির ওজন ভোজ করতে গিয়ে বৃদ্ধ বুকটিও মেছওয়াক করে হৃদয়ের
মূলত-
খাদ্যের পৃথিবীতে তিন ভাগ প্রেম এক ভাগ আহার!
অতএব-
আঙুল
ভাড়ার দেশে আগুনও অদ্ভুত শিল্প
ঠিক
যেন--- পলোনোমিয়াল নারীর মতো।।
৩-
পৃথিবীটা
প্রায় বৃদ্ধ এবং সাথে সাথে বৃদ্ধ হয়ে যাচ্ছে বুড়ো আঙুল ও তার সহকারি কলিগরা। এখন
হাতের তালুতে তাকালে আত্মা কেঁপে উঠে,গ্যাদারিং করে উঠে শরীর কেন্দ্রিক ফুয়েল
পেপার...;সাদা কাগজ আহত হবার আগেই নিহিত হয় কলমের
দাদাগিরি!আমাদের বাড়িতে ঢুকতে হলে দরজা বন্ধ করে ঢুকতে হয়! তবু বলতে চাই -রাজনীতি
একটি ক্ষণস্থায়ী চারাগাছ, যতোক্ষণ ক্ষমতা থাকে ততোক্ষণ-ই তার বৃক্ষ
বৃত্তান্ত, ডাল-পালার বিন্যাস এবং নাগরিক পাখি গুলো এ বৃক্ষের নামকরা বোকা
পারিবারিক সদস্য।
ফলত-উড়ে এসে জুরে বসে, ঘুমুতে গেলে উলঙ্গ
হয়ে কাঁদে!
:চোখের
দিক থেকে কান্না একটি মহাকালীন নদীর নাম
যা
মহামান্য ঈশ্বর মানুষকেই সে নদীর জনপদ করে রেখেছে !বাকি সব বাকি পদ।।
অতঃপর
হায় হায় ; গাছ ছাই হয়ে যাচ্ছে রোদের অভাবে অথচ
সমূহ
মাটির অন্তরে লোড করা চৈত্র-কন্যা!
একদিন
পাঁজরের সাতকাহন নিয়ে উড়াল দেয়
বুকের বা-পাশে লালন করা গাঙচিল ; বলতে
হয়---হেঁ প্রেম তুমি নিজেও মুক্ত নও প্রবোঞ্চিত-র বুলেট থেকে। ‘ভাবের মিছিলে
আত্মার সৈন্য, আত্মার সৈন্য পাড় করে কবিতা-জীবন’
যেন---
জীবন এক ভূবন মাঝি, আর মাঝি এক বেওয়ারিশ কবি!
আফটার:
শূন্যতত্ত্বে-
মানুষ তলিয়ে যায় হাওয়া-সাগরে, নতুন ঝিনুকে পুরোনো আদর পেতে!
জীবন এক শূন্যের নামতা
৪
জীবনের
চৌব্বাচায় কোন রঙ ঢালিনী বলে বুঝে গ্যাছি- ধর্মের রঙ আতর আতর, যে যতোটা মেখে
সন্তুষ্ট হতে পারে তাতেই ধ্যান হয় চমৎকার; যেন--- কুলার বুকে চালে’রা নাচছে বিয়ের
নাচ এবঙ মানুষের পেট সে নাচ না দেখে চেয়ে আছে সহস্র হাড়িরর মেদে, যেহেতু
ক্ষুধার্থের পৃথিবীতে কাজীর কোন বিধান রান্না হয় না ! দুঃখ হয়- প্রেমিকার কাচের
চুড়ি ভেঙে গেলে কমে যায় কাম-উত্তেজনার স্বাস্থ্য।
ঠোঁটের ফাঁকে মাঘের কুয়াশার মতো ব্লার হয় আনন্দ আর দুঃখের সিরামিক্স খেয়ে বেকারত্ব
শান দেয় জীবনের-ঈদ!
অতঃপর
রাস্তায় কোন মাপ নেই ভাগ্যবান জুতোর; ক্যাবল ছায়া গাঢ় হয় তলিয়ে যাবার আয়ুষ্কাল
শরীরের...
No comments:
Post a Comment