বাক্‌ ১৪৯ ।। সাগর ইসলাম

 

ব্যাধিচার

 

বহুকাল হলো নিজেকে ডেকে চলেছি জীবন নামক আরশলার জবানবন্দিতে;

বোধের হ্যাঙারে অনুমান ছাড়া কিছুই পেলাম না

তাই নিলাম- তৃখণ্ডিত গলায়।

- চলো দুঃখবীর ভোগের ময়দানে গাই স্মৃতি গায়েবী গান।।

এখানে,

বাদামী রঙা সব প্রশ্রয়ের দলিল

ওখানে,

বিশ্বাস এক অভিজ্ঞতার সাইকেল!

উত্তর হাতাতে হাতাতে উড়ে গেছে সব হাত-কথা, ঘোলা বেলুনের ভেতর তলিয়ে গেছে উৎসব; মায়া ধরতে গিয়ে দেখি- মানুষ ছাড়া ভয়ের কোন রাস্তা নেই!

মূলত- মেঘ ছাড়া হৃদয়ে কোন আসমানী পন্য নেই …

 

 

 

আসমানী পন্য

 

মন ভেদ করে সাপ্লাই দিচ্ছে পলোনোমিয়াল আত্মচিৎকার, প্রভুর পাশ কেটে কার পাটে?

কে রে ঘাটে বসে আছে চিরকাল? রোদের শশ্মানে বসে খায় গ্রীষ্ম-জলের মদ

হাড়ির তলপেটে লাকড়ির গান। অথচ প্রকৃত রান্না খেয়ে উড়ছে পাখি;

কুমারী ঠোঁটটির ওজন ভোজ করতে গিয়ে বৃদ্ধ বুকটিও মেছওয়াক করে হৃদয়ের

মূলত- খাদ্যের পৃথিবীতে তিন ভাগ প্রেম এক ভাগ আহার!

অতএব-

আঙুল ভাড়ার দেশে আগুনও অদ্ভুত শিল্প

ঠিক যেন--- পলোনোমিয়াল নারীর মতো।।

 

 

৩-

পৃথিবীটা প্রায় বৃদ্ধ এবং সাথে সাথে বৃদ্ধ হয়ে যাচ্ছে বুড়ো আঙুল ও তার সহকারি কলিগরা। এখন হাতের তালুতে তাকালে আত্মা কেঁপে উঠে,গ্যাদারিং করে উঠে শরীর কেন্দ্রিক ফুয়েল পেপার...;সাদা কাগজ আহত হবার আগেই নিহিত হয় কলমের দাদাগিরি!আমাদের বাড়িতে ঢুকতে হলে দরজা বন্ধ করে ঢুকতে হয়! তবু বলতে চাই -রাজনীতি একটি ক্ষণস্থায়ী চারাগাছ, যতোক্ষণ ক্ষমতা থাকে ততোক্ষণ-ই তার বৃক্ষ বৃত্তান্ত, ডাল-পালার বিন্যাস এবং নাগরিক পাখি গুলো এ বৃক্ষের নামকরা বোকা পারিবারিক সদস্য।

ফলত-উড়ে এসে জুরে বসে, ঘুমুতে গেলে উলঙ্গ হয়ে কাঁদে!

:চোখের দিক থেকে কান্না একটি মহাকালীন নদীর নাম

যা মহামান্য ঈশ্বর মানুষকেই সে নদীর জনপদ করে রেখেছে !বাকি সব বাকি পদ।।

 

অতঃপর হায় হায় ; গাছ ছাই হয়ে যাচ্ছে রোদের অভাবে অথচ

সমূহ মাটির অন্তরে লোড করা চৈত্র-কন্যা!

একদিন পাঁজরের সাতকাহন নিয়ে উড়াল দেয়

বুকের বা-পাশে লালন করা গাঙচিল ; বলতে হয়---হেঁ প্রেম তুমি নিজেও মুক্ত নও প্রবোঞ্চিত-র বুলেট থেকে। ‘ভাবের মিছিলে আত্মার সৈন্য, আত্মার সৈন্য পাড় করে কবিতা-জীবন’

যেন--- জীবন এক ভূবন মাঝি, আর মাঝি এক বেওয়ারিশ কবি!

আফটার:

 

শূন্যতত্ত্বে- মানুষ তলিয়ে যায় হাওয়া-সাগরে, নতুন ঝিনুকে পুরোনো আদর পেতে!

 

 

 

জীবন এক শূন্যের নামতা

 

জীবনের চৌব্বাচায় কোন রঙ ঢালিনী বলে বুঝে গ্যাছি- ধর্মের রঙ আতর আতর, যে যতোটা মেখে সন্তুষ্ট হতে পারে তাতেই ধ্যান হয় চমৎকার; যেন--- কুলার বুকে চালে’রা নাচছে বিয়ের নাচ এবঙ মানুষের পেট সে নাচ না দেখে চেয়ে আছে সহস্র হাড়িরর মেদে, যেহেতু ক্ষুধার্থের পৃথিবীতে কাজীর কোন বিধান রান্না হয় না ! দুঃখ হয়- প্রেমিকার কাচের চুড়ি ভেঙে গেলে কমে যায় কাম-উত্তেজনার স্বাস্থ্য। ঠোঁটের ফাঁকে মাঘের কুয়াশার মতো ব্লার হয় আনন্দ আর দুঃখের সিরামিক্স খেয়ে বেকারত্ব শান দেয় জীবনের-ঈদ!

অতঃপর রাস্তায় কোন মাপ নেই ভাগ্যবান জুতোর; ক্যাবল ছায়া গাঢ় হয় তলিয়ে যাবার আয়ুষ্কাল শরীরের...


No comments:

Post a Comment