বাক্‌ ১৪৯ ।। আবেশ কুমার দাস

ভারতবর্ষ

 

কখন কী হয় কিছু বলা যায়! কোথা দিয়ে খুলে যায় ভাগ্য...

         সে ঠিকই। লটারির টিকিট কেটেও তো বড়লোক হয়ে যায় কত লোকওই রাস্তা খোলাই আছে সব সময়। বলছি যেভাবে ভাতের জোগাড় করতে শিখেছি সেই সোজা রাস্তায় আর এগোনোর পথ বন্ধ।

         এত হতাশ হোয়ো না। দাঁড়াও, একদিন তোমাকে নিয়ে যাব মন্দিরে।

         তুমি যাচ্ছ যাও। আমাকে আর টেনো না ওসব জায়গায়।

         সে কী কথা! কেন?

         ভাল লাগে না ওসব মন্দির-ফন্দির যেতে।

         ছি! অমন বলতে নেই...

         কী হয় মন্দির-মসজিদে গিয়ে! দুনিয়ায় আর কারও কোনও সমস্যাই থাকত না তাহলে।

         অন্য লোকের কথা বলতে পারি না। তবে আমি কিন্তু ভগবানের কাছে যখন যখন যা যা চেয়েছি সবই পেয়েছি।

         আচ্ছা! তবে তো দোষটা তোমারই। আর-একটু বেশি করে চাইলেই পারতে...

         কেন চাইব? দু’ বেলা খেয়েপরে তো বেঁচে রয়েছিবেশি চাইতে নেই ভগবানের কাছে।

 

নতুন স্কিমের ফিডব্যাকটা নেওয়া হল?

         নতুন স্কিমে কিছু সমস্যা হচ্ছে স্যার। বাজারে মন্দা। সময়টাও ভাল নয়ইস্ট জোনের ইনভেস্টমেন্টে অনেকগুলো টাকা ঢুকে বসে আছেরিকভারে টাইম লাগবে। আবার এক্ষুনি মেশিনারিতে বেশি কাটছাঁট করতে যাওয়াও মুশকিল। শেয়ারভ্যালু তিন থেকে সাতাত্তরে উঠেছে কিন্তু ওই মেশিনারির জন্যই...

         সে তো ঠিকইআচ্ছা, সেই মন্দির-মসজিদের সুড়সুড়িটা আবার চালু করলে হয় না?

         ওটাই বেস্ট অপশন স্যার এই বাজারে।

         হ্যাঁ, রাজার কাছে চাহিদার শেষ থাকে না মানুষের। কিন্তু খেয়েপরে বেঁচে থাকলেই তারাই ধন্যবাদ দেয় ভগবানকে।


 

1 comment:

  1. খুবই ভালো লাগলো । কথা অল্প ব্যপ্তি অনেক ।

    ReplyDelete