মেটামরফোসিস
শব্দ — অনেক
সময়ই তার ভেতরটা ফাঁপা আর
সেই সুযোগে তোমার ফেনিয়ে
তোলা ভাবনার কিছুটা
ঢুকিয়ে দিয়েছ
সেই ফাঁপা অংশে।
এটা তুমি করেছ, তোমার
আগে তোমার প্রিয় কবিরা
করেছেন, এমনকি
ইতিহাসে সার্থকতম যাঁরা, তাঁরাও...
আমি একটা কবিতা হাতে নিয়েই
দেখতে পাই,
কবিতার হয়তো একটা প্রান্ত
ঝুলে আছে, মাঝখানে
কয়েকটা শব্দ ঢাউস হয়ে
ফুলে আছে, কিংবা
পাথর বইবার কষ্টে কারুর
ঘাড়ের কাছটা নীল ...
কেউ তার নতুন অর্থ না-বুঝে
চুপ, নড়তেও ভয় তার!
আমি তুলে নিই আরেকটা কবিতা, রেখে
দিই, তারপর
আরো আরো অনেক কবিতা ...
আমি দেখতে পাই অনেক অনেক
দিন পর
যেভাবে পুরোনো লোহালক্কড়ের
স্তূপ থেকে ছাড়ানো হয় জং, নতুন কাজে লাগানো হবে বলে,
সেইভাবে কবিতাগুলোর গা
থেকে ছাড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে
শব্দ —তারা
উজবুকের মতো পড়ে আছে,
কেউ তাদের তুলে নিয়ে গিয়ে
আবার নতুন করে অর্থ ভরে দেবে...
প্রণালী
দুটো মহাদেশকে জুড়ে দিয়েছে
কিংবা
দুদিকে ঠেলে একটু দূরে
সরিয়ে রেখেছে
একটা প্রণালী —
একবার এদিকে দাঁড়িয়ে ওদিকটায়
দেখো,
তারপর ওদিকে দাঁড়িয়ে এইদিকে ...
সময়গুলো কীভাবে অত্যাচার
করে গেছে
কিন্তু
অনেক চেষ্টা করেও সেই
চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যাবে না,
যা দেখে টের পাবে যে সময়
আসলে
কোন দিক থেকে এসে কোন
দিকে গেছে!
অথচ তোমার পায়ের তলায়
সবসময় একটা মহাদেশ,
প্রণালীর ওদিকে শুয়ে আছে
আরেকটা,
ভাঙাচোরা ইতিহাস ধর্ম
আর বেঁচে থাকা নিয়ে লড়াই...
বেশ ভালো লাগলো, লেখাগুলো ভাবায়
ReplyDelete