বাক্‌ ১৪৯ ।। গিয়াস গালিব

গিয়াস গালিবের তিনটি কবিতা 

 

আম্মুর কপালে 

নিত্য ফুটতো সবুজটিপ 

সেদিন দেখে ভিন্ন

অনুসন্ধিৎসায় জানতে চাই অদ্য কোনো দিবস?

 

ভিত্রের হরিণ দুর্বল হলে ধর্ম্ম লাফায় উদবিড়ালের চিবুকে। 

                    কেড়ে নেয় চঞ্চলমত/ 

                    হাতফুলের সৌরভ/ 

                    চোখের কিরণ/ 

                    ঘরের মস্তক/ 

সমগ্রআকারে পায়ে পড়িয়ে দেয় চোহদ্দি,

সূর্যে বাঁচে যে বীজ সুষমজলে শনৈ-শনৈ 

হয়ে উঠে তরু। এটা স্রেফ আমার একার মায়ের কথা নয়, আমাদের চারপাশে থাকা অগণিত মায়ের মনের কথা। 

 

♦️

মধ্যাকর্ষণপাতা চাহনির আন্ধারে ঝিমায়। কোত্থাও নেই কুকুরের গোঙানি, স্ব-বর্ষাকাল; তুড়া তুড়া বজ্রডাক। 

 

এজলার ছায়ায় মাছের শরীর।

 

কার ইশারায়

থরথর করে কাঁপে একাদশী

সময়ের ইমারত 

কার ইশারায় 

এই পাতাবৃষ্টি 

ভিজে হাওয়াগাছ

কার ইশারায়?

 

আমি টের পাই, টের পাই কমিউনিটি; ছাই ছিটাইলে নিভে না মেঘের মেজাজ। আয়ুর পা থেকে গলে যাচ্ছে সমিতি পাড়া।

 

♦️

পাখির আচরণের সঙ্গে আমার ঢের মিল।

পেক্টোরাল স্যান্ডপাইপার পাখির মতো চষে বেড়াই পৃথিবী। মিলনইচ্ছুক পাখির মতো উড়ে বেড়াই এখানে-ওখানে তোমার খুঁজে; আলাদা আলাদা শহরে তল্লাশি করি সহস্রবর্গমাইল।

 

আইতোলিকো শহরে আমি সঙ্গিহীন 

তুমি যদি একবার অবেলায় আসতে—

           আমি হৃদয়ের হাত দিয়ে তোমাকে ছুঁতাম 

তুমিও বিশ্বাসের হাত দিয়ে আমাকে ছুঁতে পারো।

 

ভালোবেসে যদি একটি চুম্বন এঁকে দিতে, বেড়ে যেতো আমার সোয়াঅযুতবছর আয়ু।

 

আমার জিহ্বার চাপ, প্রতিটি আঙুলের চাপের মতোই স্বতন্ত্র; 

                                হাত দিয়ে 

                                চাহনি দিয়ে

                           প্রজাতির মতো 

পা দিয়েও নিতে পারি তীক্ষ্ণ স্বাদ।

 

 

সর্বোপরি—  আমি প্রেমতটস্থ

                   তুমি অধরাস্বপ্ন।

 

দিনশেষে দীপ্তিময় লালটিপ নুনাজলের তল্লাটে লুকায়, যে ফুল রাতের সে ঝরে প্রাতে।

সিজনশেষে ব্যর্থ থেকে যাওয়া পাখির সংখ্যাও নেহাত কম নয়।

 

 

No comments:

Post a Comment