বাক্‌ ১৪৯ ।। সুবর্ণকান্তি উত্থাসনী

 


ভাসমান সিঁড়ি

 

রোজ সূর্যাস্তের পর একটা ভাসমান সিঁড়ি কে আমি দেখি

পূজার ঘর থেকে বেরিয়ে চিলেকোঠার দিকে অন্তর্হিত হয়ে যায়

 

রোজ সূর্যোদয়ের সাথে সোনালি ধানের ক্ষেত থেকে উঠে এসে

একটা স্রোত সিঁড়ি বেয়ে তরতরিয়ে পূজার ঘরে যায়,

 

কবেকার মৃত নারীরা হেঁটে যায় সেই পথে বান্ধবী, অভিসারিকা

ঘন্টার ধ্বনি শুনে প্রেমিকেরা ছুটে আসে ভিড় করে

 

রোজ সূর্যাস্তের পর সিঁড়ি বেয়ে স্রোত ছোটে চিলেকোঠা

পাড় ভাঙে আর সিঁড়ির নীচে জমে ওঠে ইএমআই, ল্যান্ড লোন্

 

রোজ রাত্তিরে আমি স্রোতের সঙ্গে খেলি, সিঁড়ির সঙ্গে খেলি

ঘোড়া মরে, হাতি মরে, জ্বর আসে অচেতনে বিড়বিড় করি

 

ছায়া মোছে, খুবলে খুবলে পড়ে কায়া, পতনের পিন গুনি

চিহ্নরা মুছে গেলে দিকশূন্যে সেজে ওঠে এক-একটা বাড়ি।

 


1 comment: