বাক্‌ ১৪৯ ।। হিমাদ্রি চৌধুরী

 

মায়া

 

সহিসের বেদনায় নীরবে ঝরে অশ্বের ক্রন্দন 

 

দ্রুত ধায় সে

 

যেন বা আলোর নিকট নামছে ঘাতক

 

গলা পেতে দিয়ে ক্রমবর্ধমান সহিষ্ণুতায়

 

ছুটে এই ভ্রমে বিশ্বরূপের অর্ধেকে

 

চোখে ভরা কাজলের ভাষায় মায়া

 

সৈনিক জানে মরনের আগে জানে

 

আসে চলে জলধির অতিব সুরভী 

 

গাছে গাছে বসন্ত সন্তান 

পথিকের তবু না ফুরালো পথ

ভ্রমণের বেশ্যা টানের স্বভাবে।

 

 

বিনাশ

 

পতিত হয়ে গেছি নীরব বিদ্যুৎ 

ত্রাসে। লৌহ ঋতু রোজই আঘাতের 

আঁকে ছক।

 

ফিরিয়ে আরোগ্য বৈয়াম শব্দের 

নিকটবর্তী সাধুসঙ্গ যোজনা করি

উপোস থালায়।

 

ক্ষয় নয়

ক্ষত শুধু

 

পতন রোধে বিনাশই রত্নসম্ভবা যামিনী আঁচল। 

 

 

 

জলদঙ্গল

 

তোমার চোখের জলে ময়ূর নাচের মুদ্রায়

আমি বিক্রি হয়ে গ্যাছি

 

ক্রমেই—

নামছে— 

মৃত্যু—

 

জাগতিক সমূহ প্রহার ছাই!

 

বহুদূর হতে বাড়ি না ফিরেই দোর টানি বাতাস মৈথুন, যেনবা 'লর্ড অ্যাই অ্যাম ফাইভ হান্ড্রেড মাইলস্ অ্যা-ওয়ে ফর্ম হোম'

 

বিষথলি খুলে নীলমণি তুলে দাও জলদঙ্গলে।

 


No comments:

Post a Comment