বাক্‌ ১৪৯ ।। সু ত নু হা ল দা র


 

জাগ্রত

এরপর আবার সেই অন্তত হাঁটা

 

লেবুফুলের ক্রোধ তখন আগাপাশতলা 

অধিকার নিয়ে নিয়েছে, অসহায় বাতাসও

তখন সাময়িক চুপ! লম্পট আষাঢ়ের 

নিপুণ প্রহেলিকায় নিতান্ত ইনোসেন্ট 

বৃষ্টি ফোঁটা একান্তে দুর্বার...


পৃথিবী কখনও ওদের আপন করে নিতে পারেনি!


মাঝি বৈঠা বায়, নদীর জলের ছলাৎ ছলাৎ শব্দে

গান ধরে মৃদুমন্দ বাতাস। স্নান সেরে 

ঘরে ঢোকে শস্যকণা, সন্ধেবেলা আস্তে আস্তে 

পরিত্যক্ত শামিয়ানার নীচে যখন

বাতাস আর জোনাকির তীব্র ঝগড়া শুরু হয়,

তখন মৎস্যগন্ধায় ক্রোধ অভিযোজিত।


মাছেরা অবিরাম সাঁতার কাটে

লক্ষহীন মাধূর্যে বাতাস বয়

মানুষ হাঁটছে, অনন্তকাল কাল হাঁটছে...

অথচ কী স্থির বিশ্বাসে গাছগুলোর তারিফ করে


ঘাবডে যাওয়া অনুভূতির ভীড
 

কণ্ঠনালীতে ক্রমশ বাড়তে থাকলে

আত্মবিস্মৃত মহাশূন্য অজন্তা-ইলোরার গুহাচিত্রের

পোজে নিজেকে জাগ্রত করে

 

No comments:

Post a Comment