চারটি
কবিতা
কালের প্রতিমা
যে
মেয়েটিকে মনে মনে বানালাম
সে-ই
দেখি কালের প্রতিমা হয়ে
গা ধোয় নদীর ঘাটে
আমি
চেয়ে থাকি তার দিকে
আর
আজীবন তরী পারাপার করি
মাঝে
মাঝে চোখাচোখি হয়
মাঝে
মাঝে হাসাহাসি
যদিও
মনে মনে ভাবি:
তার
পেটে আমার সন্তান আছে
সেও
একদিন মহাকালের নৌকার মাঝি
মেয়েটির
গায়ে রোদ পড়ে
অবেলার
মায়াবী স্নিগ্ধ রোদ
বসন্ত
বিকেল জুড়ে সে স্নান করে
ঘ্রাণ
পাই আমি
আমাদের ধূসর
আমাদের
ধূসর-এর কোনো বাঁশি নেই
ভাসতে
পারে না, হাসতে
পারে না
বিষাদ
পাড়ায় শুধু যায় একা একা
অদৃশ্যের
হাত ধরতে চায়
অদৃশ্যের
দিকে নীরবতা ছুঁড়ে দ্যায়
কাঙ্ক্ষিত
গ্লাসের জলে
আজ কি
মিশেছে বিষ?
বিষ তো
মিসেস কারও
থই থই
করে দেহ উচ্ছল তরলে
শিস দেয়
অনুভূতি নিঃস্ব বিকেলে
এতবার
মাছরাঙা ওড়ে
কোথায়
মাছ? রাঙা রাঙা ধারণার চোখে
বংশীবিহারী
যায় কোনো আলোপুরে
আমরা
শুধু মিথ ব্যবহারী
পদাবলি
থেকে বিরহ তুলে আনি...
অভিযান
মৃত্যুপরিক্রমা
করছি শুধু
ঐশ্বর্যের
দোকানের পাশ দিয়ে যেতে যেতে
আমাদের
অভিযান মদন-ভস্মের গল্প শুনছে
এক একজন
মদন আজীবন ভস্ম হয়ে গেল!
পৌরাণিক
নিতম্বের গূঢ়চারী দোলন
সামনে
এসে দাঁড়ালে
কীভাবে
আমরা হাঁটুমুড়ে বসব তার কাছে?
পিচ্ছিল
কোনো জৈব পদার্থের রসায়নে
আমাদের
আবেগ চলে যাচ্ছে বারবার…
আবেগকে
ফেরানো যায় না
যতই
মৃত্যুপরিক্রমা বাড়ে
আবেগ
মৃত্যুর কাছেও সঙ্গম প্রত্যাশী
অকাল্পিক
টুকরো
টুকরো গল্পগুলি পড়ে আছে
কখনো বই
হবে না, পাঠের
যোগ্য হবে না
অথচ
মালা পরে বিবাহসভায় গৌরব হতে চাইছে
এক একটাকে চুলের মুঠি
ধরে বের করে দিই
ঘাতক
রাজনীতিকে ডেকে এনে দেখিয়ে দিই
গল্পগুলি
ধর্ষিতা হোক,অন্তত
যৌনব্যবসায়ী
পরান্ন ভক্ষণ করতে করতে
উপলব্ধি
দরজা খুলে রাখছে
কখনো
কাপড়ও
প্রশ্রয়
পাওয়া গল্পগুলি মুখ দেখে নিচ্ছে এদেরই আরশিতে
নবনী
চলে গেলে আমি একা
হাত
সেঁকতে সেঁকতে পুড়িয়ে ফেলছি হাত
এখন আর
ছুঁতে পারি না গল্পের শরীর
চমৎকার লেখা। অভিনন্দন কবিকে।
ReplyDeleteঅসাধারণ লেখা❤️
ReplyDeleteচারটি কবিতা অসাধারণ ব্যাঞ্জনাময় । কর্ম কূশলীবৃন্দকে শুভেচ্ছা প্রিয় কবি।
ReplyDeleteপ্রতিটি কবিতা অসাধারণ
ReplyDelete"
ReplyDeleteকালের প্রতিমা" অসাধারণ একটি লেখা।
অপূর্ব অপূর্ব অপূর্ব
ReplyDeleteঅসাধারণ প্রতিটি লেখা প্রতিটি বুনন
ReplyDelete