বাক্‌ ১৪৯ ।। অর্ক মন্ডল

 


তিনটি কবিতা

 

জলের গরিমা ভেঙে স্নান উঠে যায়।

পায়ে পায়ে মাটির রোঁয়ার ঘূর্ণন।

তৃণরাজ্যে আঁকাবাঁকা হরেক প্রবাহ। 

পাখিসাবকেরা বুঝি সকাল আঁকছে।

জলের গরিমা ভাঙা সজলতা দেখে 

শিশুরাও ম্লান, চন্দ্রকলার মতো

হাত তুলে দেয় নাকি গোপন ঈর্ষায়!

অথবা সৌন্দর্যের প্রতি কোন ক্ষুব্ধ

অধিকারবোধে কামিনী ফুলেরা ঝরে থাকে।

সহায়-আশ্রয়হীন তুল বীজ উড়তে উড়তে

দেখে, আগুনে বিষাদে যার এতো 

মিলমিশ, তাকে ছুঁয়ে বিমর্ষ বিন্দু শুকায়।

বেকার ও ভবঘুরে কাঠের ঈশ্বরগুলি

ধূপের গন্ধে ক্রমে মেঘ হয়ে যায়।

 

 

 

কতিপয় ফুলের কাছে আসন্ন বেদনা,

ভাঙা মলিনতাটুকু ব্যাপ্ত রেখেছি।

রেখেছি রঙিন কাঁচে ছায়া চলাচল।

আপনাকে, আপনার গভীর অন্তরে যাবার

সুসজ্জিত পথ যদি পাই, প্রণমে বা চুম্বনে

যদি কেউ ঘিরে রাখে অর্ধনমিত তরুবর,

যদি স্বপ্নে ওঠে ভারি দোল কিশলয়,

কদম্বরেণু লেগে ভালোলাগা ভাঙতে

ভাঙতে রোদনের কোমল আশ্রয়

যতদিন ভুলে থাকবার!

যতদিন বেলা পড়ে যায়

আমি স্নান ভুলে যাই...

 

 

ঘুমের দুয়ারে এসে জড়ো হয় নিদ্রার দুধ।পালকের গর্ভে নামে হাজার হাজার পাখি-তাপ।

অপরিসীম বালক হরিণ। তাকে ঘিরে রাত্রি মাতা

স্বপ্নের বন্ধনী দেন। চোখের পাতার নিচে মায়া বিল। জলে ছন্দোবদ্ধ ঢেউ। শামুক আত্মারা একে একে চাঁদ মুখ দেখে। একে একে কলঙ্ক টিকা দিয়ে নেমে যায় হরিণের অতল হৃদয়ে। ক্ষুদ্র বিরহে।

 


No comments:

Post a Comment