বাক্‌ ১৪৯ ।। মানসী কবিরাজ

 


বিরহোত্তর

 

ছোবল এখন আর তত সংক্রামক নয়

যতটা হলে,

আপনি ফিরে ফিরে আসতেন

হিস্ হিস্  করবেন বলে

আসলে নাগাড়ে অল্প অল্প ঢেলে দিলে,

নষ্ট চেতন নয়, ভিতরে ভিতরে

অবধ্য নেশা জন্মায়

 

 আপেল বাগান ছুঁড়ে ফেলে,

লাল নিশান মেলি  উন্মত্ত ষাঁড়ের সমুখে;

 

শিকার নিজেই  এখন, শিকারি ধরতে শিখে গেছে

 

 

 

 

দাম্পত্য

 

ছেড়ে ফেলা পোশাকের  ঘ্রাণ 

আমাদের  আনমনা করে

মাঝেমাঝে;

পরস্পরের নখের আঘাতে

পাশাপাশি শুয়ে বসে থাকি

আমাদের পাশে, শুয়ে থাকে 

দুপুরের ঘাম

 

শিমূল বালিশের ভাঁজে

জলের পিপাসা খোঁজে

নিরামিষ হাত 

 

 

  

পূর্বরাগ

 

আপনি আসার আগেই

নিভিয়েছি  

দেশলাই কাঠি

চকমকি পাথরের আঁচ

আপনি আসার আগেই   

ফ্রেম থেকে রেখেছি খুলে

পরাবাস্তব

শুধু ভিতরের ভ্রমখানি

 ইতস্তত ঘোরাফেরা করে

এক পা এগিয়ে গেলে দুই পা পিছায়

 

অথচ

আপনি আসার আগেই , যমুনার ছল ভেবে ভেবে

অদম্য রাধিকা নূপুর  

নিজেই নিজেকে সাজায়

 বৃন্দাবনী  পিপাসার সাজে !

 

 

 

নহবত

 

যেখানে তোমার স্মৃতি  বস্তুত অন্ধকারে

এবং

যখন

সমস্ত সান্ধ্যকালীন ভাষা, ভুলে যায়

স্থির চৌকাঠ

তখনও  কুলুঙ্গিতে  রাখা  স্পর্শ কুহক 

যেন তার জীয়ন কাঠিতে

পরিযায়ী পালকের থেকে ,খুঁজে নেয়

স্ফটিকের রাত

পুরুষ পাখির গ্রীবায় পিচ্ছিল

ভেলভেট রং

খড়কুটো  বয়ে আনে পাখিনীর

ঠোঁট

 

পৃথিবীর শুদ্ধতম স্নান মাখে

শয়নের ঘর

 

 


No comments:

Post a Comment