নামাজ
আম্মা নামাজ পড়তে বসেন। আর নামাজ আম্মাকে বসিয়ে রেখে
দাউদের গান শুনতে যায়। আম্মা নামাজের জন্য অপেক্ষা করেন। দাউদের গান শুনে নামাজ
বেহেশত থেকে ফিরে আসে। নামাজের গায়ে তখন গানের পঙক্তি। আম্মার নামাজ শেষে এইসব
পঙক্তি খুব জনপ্রিয় হয়। এই সব পঙক্তি জনপ্রিয় হলে আম্মা আমাদেরও নামাজ পড়তে বলেন।
আমরা নামাজ পড়তে যেয়ে দাউদের গান শিখে ফেলি।
উঠতি বয়সী প্রেম
দুপুরে, মাঝেমাঝে নির্জন পথে দাঁড়িয়ে, বালিকা বিদ্যালয়ের
মেয়েগুলো ওদের প্রেমিকদের কাছে বিদ্যালয়ের অবিবাহিত শিক্ষকদের অভিজ্ঞ চোখের গল্প বলে।
এই সব অবিবাহিত অভিজ্ঞ চোখ নিয়ে গবেষণা করতে করতে পাড়ার প্রেমিকদের রাতে ঠিকমতো
ঘুম হয় না। তারা জেনে যায়- পৃথিবীর সমস্ত অবিবাহিত অভিজ্ঞ চোখগুলোর ভেতর ঘুঘু ওড়ে।
পাড়ার বালিকা ওই সব উড়ন্ত ঘুঘুগুলোর দিকে তামাম বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে থাকে। তাকিয়ে
থাকতে থাকতে তারা ঘুঘু ক্লাসে উত্তীর্ণ হয়। এসব দেখে পাড়ার প্রেমিকগুলো তখন ঘুঘু
শিকারে বের হয়। তারা ঘুঘুর পেছনে ছুটতে থাকে। ছুটতে ছুটতে দুপুর হয়ে যায়। ঘুঘুপাখি
ধরতে না পারার বেদনায় প্রেমিকগুলো তখন ভীষণ দুশ্চিন্তায় পড়ে। আর বালিকা বিদ্যালয়ের
মেয়েগুলো জেনে যায়- দুপুরসম্পৃক্ত এসব দুশ্চিন্তাগুলোকেই মূলত উঠতি বয়সী প্রেম
বলে।
ওড়না
লম্বা মতো এক ফেরিওয়ালা প্রতি রোববার আমাদের মহল্লায়
ওড়না বেচতে আসতো। সে এলেই মহল্লার মেয়েগুলো তাকে ঘিরে গোল হয়ে দাঁড়িয়ে যেত। লম্বা
লোকটা মেয়েদের বলতো, সাদা ওড়নাটার নাম হলো আকাশ ওড়না। সবুজ ওড়নাটার নাম হলো অরণ্য
ওড়না। আর লাল ওড়নাটার নাম হলো আগুন ওড়না। আমাদের পাড়ার মেয়েগুলো প্রায়ই ওড়না কিনত।
তারা খুশি মনে বুকেতে আকাশ, অরণ্য, আগুন নিয়ে ঘুরে বেড়াতো। তবে বিক্রিবাট্টা শেষে
ওই ওড়না বিক্রেতা প্রতি রোববারই জানিয়ে যেত- সাবধান, কখনো কোনো মেয়ের জীবন-অরণ্যে
আগুন লেগে গেলে স্বপ্নের আকাশ ভেঙে পড়ে, মেয়েরা তখন গলায় এই ওড়নার ফাঁস নিয়ে মরে।
তিনটি কবিতাই দুর্দান্ত
ReplyDeleteঅনবদ্য।
ReplyDeleteবাহ, খুব ভালো
ReplyDeleteবাহ
ReplyDelete