কে কাকে স্বপ্নে দেখে?
স্বপ্নে আমি জলকে পেরিয়ে এসেছি গতকাল
এখানে ধূ ধূ বালি, হাওয়ার চিরুণি তল্লাশির পর
ছেঁড়া ছেঁড়া পাঁজর থেকে উঠে আসছে নীল হলাহল
আমার মতো আমি যাদের দেখি তাদের চোখে এক শতাব্দীর ঘুম লেগে আছে
তারা বালির নিঃসঙ্গ বুকের 'পর উপুর হয়ে শুয়ে অনুভব করতে চাইছে ঋতুবতী গাছের কোন
জন্ম।
আশ্চর্য চুপচাপ দশদিক, শব্দহীন অনিবার কান্নার শুভ্রতায়
বালিতে বালিতে ভেসে উঠছে স্তনমুখ আর
তার চারপাশে কক্ষপথের বৃত্ত সম্পন্ন করে অপেক্ষারত মৃত্যুর জন্য
দিন-রাত অসংখ্য নক্ষত্র; তারামন্ডল,
প্রহর গুনতে গুনতে ঝরে পড়ে সাদা ফুলের নির্মাল্য নিয়ে
ইতস্তত ঘোর জাগে, দাঁড় ভাঙা শুক্লপক্ষের অলীক ঢেউ
এখানে এমনই নির্বাসন!
আমার স্নায়ুশূলে সত্তায় ফ্যাকাশে ভোরের পালক উড়ে বসে
ম্লান প্রেম; সুপ্তোত্থিতা
সংকোচে নিঃসংকোচে তুমি বলেছিলে অনেক কথা
পরলোকের পাথেয় চাই, অগ্নিদাহ থেকে শান্তি
অথচ গান্ধব্য মতে আগুনের সাথে কোন সম্পর্ক ছিল না আমার।
আমি এই সাদা ফুলের শিশির উজ্জ্বলতা দিয়ে ধুয়ে দেবো
তোমার পা পাতা মূল, পদপল্লব
তারপর বিস্তৃত পথ, কে কাকে স্বপ্নে দেখে?
তুমি তো চেয়েছিলে এভাবে
বড়ো হতে হতে যেন আকাশের মূর্ধা ছুঁয়ে থাকতে পারো আজীবন।
বাক্ ১৪৯ ।।বিক্রম ঘোষ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment